খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়
সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়ম
শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম
দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
মরিয়ম খেজুর খাওয়ার নিয়ম
খুরমা খেজুর খাওয়ার নিয়ম
রাতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
দুধ ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খেজুরের উপকারিতার কথা কম-বেশি সবার জানা। এই ফলে থাকে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। খেজুরে থাকা ফাইবার ও আয়রন শরীরের অনেক উপকারে আসে। খেজুরে প্রাকৃতিক মিষ্টি থাকে, যে কারণে এটি চিনির বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। নানা ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে এতে। নিয়মিত খেজুর খেলে তা স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখে, রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকার করে খেজুর। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ ও বি, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন। তাই প্রতিদিন খেজুর খেলে শরীরে থাকবে ভরপুর এনার্জি।বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিজিয়ে রাখা খেজুর সকালে খালি পেটে খেতে হবে। তাহলেই এটি শরীরের অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেবে।
খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়
ক্যালরিতে ভরপুর খেজুরে একাধিক পুষ্টিকর উপাদান উপস্থিত থাকে। খেজুর আবার ফাইবারে সমৃদ্ধ, যা আমাদের সুস্বাস্থ্য ও হজম শক্তি বৃদ্ধিতে উপযোগী। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নানা রোগের সম্ভাবনাকে কম করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকরিতা বৃদ্ধি করে।তবে অধিক মিষ্টি ও ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে অনেকেই খেজুর খাওয়ার সঠিক সময় বাছাই করে উঠতে পারেন না। কাঁচা খাওয়া উচিত, না সারা রাত ভিজিয়ে রেখে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন অনেকে। আবার খালিপেটে খাবেন, না রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খেজুর খাবেন, তাও অনেকে বিচার করে থাকেন। জানুন খেজুর খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত ও অনুপযুক্ত সময় কোনটি। উপযুক্ত সময়প্রাকৃতিক ভাবে খেজুরে চিনির পরিমাণ বেশি থাকলেও এটি তৎক্ষণাৎ রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে না। ওয়ার্কআউটে করতে যাওয়ার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট আগে দুটি-চারটে খেজুর খাওয়া যেতে পারে। খেজুরে উপস্থিত কার্বসগুলি ধীরে ধীরে নিঃসৃত হয়, ফলে ওয়ার্কআউটের সময় শরীর থাকে এনার্জেটিক।
স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকার করে খেজুর। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ ও বি, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন। তাই প্রতিদিন খেজুর খেলে শরীরে থাকবে ভরপুর এনার্জি।খেজুর খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তেমনই চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও বিস্ময়কর এই ফলটির অনেক গুণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে মিলবে বেশি উপকার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী চলুন জেনে নেয়া যাক। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হার্টের সমস্যা দূর করে খুসখুসে কাশি দূর করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
এই রেষারেষির যুগে নিজেকে সুস্থ এবং সচল রাখতে খেজুর খাওয়া খুব জরুরি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত খেজুর প্রাণশক্তি বাড়ায় এবং অদম্য মনোবল তৈরি করে। খনিজ, আয়রন, ক্যালসিয়াম, চিনি, পটাসিয়াম জাতীয় অনেক উপকারী উপাদানগুলির কারণে এই ফলের আশ্চর্য নিরাময় শক্তি রয়েছে। এই সময় বি ভরপুর খেজুর, হার্ট, উচ্চ রক্তচাপ, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ একাধিক সমস্যা ঠেকাতে কার্যকর। এই ফল পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, শুক্রাণুর সংখ্যাও বাড়ায়। ক্যালোরি ২৭৭ গ্রাম, ১. ৮১ গ্রাম প্রোটিন, শেষজ্ঞদের মতে রাতে শুতে যাওয়ার আগে হালকা গরম দুধ স্বাস্থ্যের জন্য উপকরারী। দুধের ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে সেরোটনিনের সূত্রপাত ঘটে। এটা মস্তিষ্কে যে সংকেত পাঠায়, তা স্নায়বিক উত্তেজনা প্রশমনে সাহায্য করে। হয়তো এ কারণে দুধ খেলে সহজে ঘুম আসে। দুধ যেমন উপকারী, তেমনি ড্রাই ফ্রুটস হিসেবে খেজুরের পুষ্টিগুণ পুরুষ মহিলা উভইয়ের জন্যই উপকারী। আয়রনেমোট চর্বি ০.১৫ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৭৫ মিলিগ্রাম, ফাইবার ৬. ৭ গ্রাম, খেজুরে ৩% ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়াও ভিটামিন বি রয়েছে ৬০.২৫ মিলিগ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ ০. ৩ মিলিগ্রাম, তামা ০.৩৬ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৫৪ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৬৯৬ মিলিগ্রাম। নানান খনিজ সমৃদ্ধ এই খেজুর বিশেষ করে পুরুষ দেহে নানান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির কারণে এটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তি পেতে উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, আলঝাইমার এবং হৃদরোগ। খেজুরগুলির শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থার উন্নতির জন্য ভালো বলে বিবেচিত হয়। খেজুর ব্যবহার করলে ত্বকে স্থিতিস্থাপকতা, আর্দ্রতা এবং চকমক নিয়ে আসে। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং ডি ত্বক শিথিল হওয়া রোধ করতে কার্যকরি ভূমিকা নেয়। শুধু এটিই নয়, খেজুরগুলিতে উপস্থিত অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যগুলি শরীরে মেলানিন সংগ্রহ করতে দেয় না। এটি আপনার ত্বককে দীর্ঘ সময়ের জন্য যুবক রাখে। পুরুষ ত্বকের যত্নে খেজুর ভীষণ ভাবে কার্যকরী। পুরুষরা সাধারণত ত্বকের জন্য কিছুই করেনা। সেক্ষেত্রে নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বক ভেতর থেকে ভালো থাকবে। খেজুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি ডায়াবেটিসের চিকিত্সায় সহায়তা করে। এই ফলটি ইনসুলিন সিক্রেটে অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবারের উপস্থিতি একজন ব্যক্তির রক্তে শর্করার মাত্রা স্থির রাখে। খেজুরে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার অনেকগুলি রোগ নিরাময় করতে পারে। এটি খেলে ডায়াবেটিস, স্থূলত্ব এবং হৃদরোগ নিরাময় হয়। একই সাথে এটি পেটের ক্যানসার এবং আলসারের মতো অবস্থার ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে। আফ্রিকায় দেখা গেছে পুরুষ বন্ধ্যাত্বের জন্য সেখানকার লোকেরা দীর্ঘ দিন ধরে খেজুর । তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজনে। শোনা যায় খেজুর ফুলের পরাগরেণু বন্ধ্যাত্ব দূর করে, শুক্রাণু বৃদ্ধি করে। খেজুর ও এর ফুলে থাকা পরাগরেণু ডিএনএ’র গুণগত মান উন্নত করে ওষুকোষের শক্তি বাড়ায়। পুরুষদের কাজের চাপে অনেক সময় শরীর দুর্বল লাগে সেক্ষেত্রে কয়েকটি খেজুর খেয়ে নিলেই ফিরে পাবে আগের এনার্জি। খেজুরে থাকা পটাশিয়াম ও সোডিয়াম দেহে উচ্চ রক্তচাপ কমায়। ও বাজে কোলেস্টেরল দূর করে ও শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং খুব অল্প পরিমাণে সোডিয়াম। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস দেহের খারাপ কলেস্টোরল কমায় এবং ভালো কলেস্টোরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।হার্টের সমস্যা দূর করেহার্টের সমস্যা দূর করে বেশিরভাগ পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায় অত্যাধিক কলেস্টেরলের কারণে হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস জলে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। এবার সকালে উঠে সেই জল পান করলে হার্টের সমস্যা কমবে। খেজুর হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। রক্তপ্রবাহে গতি সঞ্চার করে। শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের সমতা রক্ষা করে। খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি দুধ ও খেজুর- উভয়েই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রনের মাত্রা। এই দুটি জিনিস একসঙ্গে মিশলে আয়রনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে হিমোগ্লোবিন ও প্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, দুধের মধ্যে দুটি করে খেজুর দিয়ে ফোটানো হলে, সেই উপাদেয় খাবারটি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বলে মানা হয়। খালি পেটে একটি নির্দিষ্টি সময়ে এই উপকারী পানীয় খেতে পারেন। মাত্র ১০ দিনে রক্তাল্পতার সমস্যা উধাও হবে।.
0 মন্তব্যসমূহ